Wednesday, February 24, 2016

বিসমিল্লাহ বহুমুখি সমবায় সমিতি, ঢাকা উদ্যান ।


বিসমিল্লাহ বহুমুখি সমবায় সমিতি
( Bismillah Bohumukhi Somobay Somiti)
ঢাকা উদ্যান, মোহাম্মাদপুর, ঢাকা-১২০৭, বাংলাদেশ। 



অস্থায়ী কার্যালয়ঃ ডে লাইট ইলেকট্র সিটি, হাউজঃ ১,  ব্লক-ডি,  ঢাকা উদ্যান, মোহাম্মাদপুর, ঢাকা-১২০৭, বাংলাদেশ।

সমিতির উদ্যেগঃ 
গত ০৯ জানুঃ ২০১৬ ইং তরিখ সন্ধ্যা ৮:৩০ মিনিটের সময় নিজেদের আত্ম নির্ভরশীল হওয়ার তাগিদে  (৫) পাঁচ জন চাকুরিজিবি ও  ব্যবসায়ী মিলে একটি সমবায় সমিতি গঠন করার ইচ্ছা প্রসন করে। উক্ত (৫) পাঁচ জন যথাক্রমেঃ    

সমিতির উদ্যেগতাঃ
১. মোঃ রতন ইসলাম (রাব্বি)  --------- চাকুরিজিবি, ঢাকা উদ্যান, মোহাম্মাদপুর, ঢাকা-১২০৭।
২. মোঃ রায়হান শেখ               --------- ব্যবসায়ী,  ঢাকা উদ্যান,  মোহাম্মাদপুর, ঢাকা-১২০৭।
৩. মোঃ রেদোয়ান ইসলাম (সাগর) ---- চাকুরিজিবি, ঢাকা উদ্যান, মোহাম্মাদপুর, ঢাকা-১২০৭।
৪. মোঃ মিজানুর রহামান (লিমন)------ চাকুরিজিবি, ঢাকা উদ্যান, মোহাম্মাদপুর, ঢাকা-১২০৭।
৫. মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন (কামাল) ---- চাকুরিজিবি, ঢাকা উদ্যান, মোহাম্মাদপুর, ঢাকা-১২০৭।

সমিতি বাস্তবায়নের সিদ্যান্তঃ  
উপরোক্ত (৫) পাঁচ জন উদ্যেগতা নিজেদের ইচ্ছার প্রতিপলন ঘটাতে গত ১০ জানুঃ ২০১৬ ইং তারিখে প্রত্যেকে যার যার নিজ বস/ স্যার ও অফিস কলিগদের সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করে থাকে এবং প্রায়  সকলেই উক্ত সমিতি গঠনের পক্ষ্যে সাড়া দেয়।

সমিতির বাস্তবায়নঃ
যেহেতু উপরোক্ত ভাবে সকলের কাছ থেকে সমিতি গঠনের বিষয়ে সাড়া পাওয়া যায়, সেহেতু সমিতি বাস্তবায়নের জন্য গত ১৫ জানুঃ ২০১৬ ইং তারিখে প্রায় ২০ জনের একটি অফিশিয়াল মিটিং এর মাধ্যমে সমিতি গঠনের বাস্তব সম্মত সিদ্যান্ত নেয়া হয়।

উক্ত (২০) বিশ জন সদস্য হলেন যথাক্রমেঃ 
 
১. মোঃ আলমগীর হোসেন 
২. মোঃ আসাদুজ্জামান
৩ .মোঃ রফিকুল ইসলাম নয়ন
৪. মোঃ সেলিম
৫. মোঃ নুরুল আমিন বাবুল 
৬. মোঃ সাখায়েত উল্যাহ (সাখওয়াত) 
৭. মোঃ শহিদুল ইসলাম
৮. মোঃ রায়হান শেখ
৯. মোঃ এনামুল
১০. মোঃ রতন ইসলাম রাব্বি
১১. মোঃ নাসির উদ্দিন
১২. মোঃ খাইরুল ইসলাম
১৩. মোঃ রেদোয়ান ইসলাম সাগর
১৪. মোঃ মিজানুর রহমান লিমন
১৫. মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন কামাল
১৬. মোঃ মনির হোসেন 
১৭. মোঃ লিটন শেখ
১৮. মোঃ মিলন খালিফা
১৯. মোঃ আলিনুর ইসলাম রাজু
২০. মোঃ সাখওয়াত হোসেন




সমিতির নাম নামকরনঃ  
 
উপরে উল্লেখিত অফিশিয়াল মিটিং এ উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ থেকে সমিতির নাম করন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের নামের প্রস্তাব উত্থাপিত হয়, তার মধ্য থেকে "বিসমিল্লাহ বহুমুখি সমবায় সমিতি"  নামটি সংখ্যা গরিষ্ঠ  ব্যাক্তি বর্গের সমর্থনে সিলেকশন হয়ে থাকে। 


সমিতির বাস্তবায়নে আহাবায়ক কমিটিঃ 



সৌজন্য চেয়ারমানঃ 

১. জনাব মোহাম্মাদ শাহআলম

 আহাবায়ক কমিটিঃ

১. জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান  ----------------------- ( আহবায়ক )
২. জনাব মোঃ সাখায়েত উল্যাহ সাখওয়াত --------- ( যুগ্ন আহবায়ক )
৩. জনাব আলমগীর হোসেন ------------------------- ( সম্পাদক )
৪. জনাব মোঃ নুরুল আমিন বাবুল ------------------- ( যুগ্ন সম্পাদক )
৫. জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম নয়ন  --------------- ( সাংগঠনিক সম্পাদক )
৬. জনাব মোঃ এনামুল ------------------------------- ( যুগ্ন সাংগঠনিক সম্পাদক )
৭. জনাব মোঃ রায়হান শেখ  ------------------------- ( প্রচার সম্পাদক )
৮. জনাব মোঃ খায়রুল ইসলাম ---------------------- ( যুগ্ন প্রচার সম্পাদক )
৯. জনাব মোঃ রতন ইসলাম রাব্বি ------------------- ( কোষাধক্ষ )
১০. জনাব মোঃ মিলন খালিফা ----------------------- ( যুগ্ন কোষাধক্ষ )

বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যঃ 
১. জনাব মোঃ সেলিম
২. জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম
৩. জনাব মোঃ সোহেল
৪. জনাব মোঃ আনিসুর রহামান
৫.জনাব  মোঃ মনির হোসেন
৬.জনাব  মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন
৭. জনাব মোঃ রেদোয়ান ইসলাম সাগর
৮. জনাব মোঃ মিজানুর রহমান লিমন






সমিতির মূল লক্ষ্যঃ 
আর্থ নির্ভরশীলতা অর্জনের লক্ষে  নিজেদের মাসিক চাদার মাধ্যমে ফান্ড সৃষ্ট করে কোন  উন্নয়ন মূলক খাতে (জমি ক্রয় করে নিজেদের জন্য মাথা গোজার ঠাই হিসাবে বাসস্থান/ বাড়ি তৈরি করার লক্ষে) উল্লেখিত ফান্ড বিনিয়োগ করে সাবলম্বি হওয়া।

কর্ম পরিকল্পনাঃ  বিসমিল্লাহ্‌ বহুমুখি সমবায় সমিতি সুদ, গুস, অ-রাজনৈতিক ও ধর্ম নিরপেক্ষ একটি সমবায় সমিতি। উক্ত সমিতির সদস্য গনের চাঁদা থেকে সৃষ্ট সঞ্চয়ী তহবিল/ফান্ড এর টাকা  কোন প্রকার সুদ এর আসায় বিনিয়োগ করা যাবেনা।     



সমিতির স্থায়ীত্যকালঃ 
সমিতির স্থায়িত্বকাল হইবে নুন্নতম (৫) পাঁচ বছর এবং সর্বচ্ছ সময় সীমা নির্ধারিত হবে সমিতির নির্বাহী পরিচালনা কমিটি ও সদস্যগণের মতামতের ভিত্তিতে গৃহীত সিধ্যান্ত, যা আগামী ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের সাধারন সভার মাধ্যমে নির্ণয় করা হবে।  
  
 সমিতির সদস্য পদ সংখ্যাঃ 
সমিতির সদস্য পদের সংখ্যা হবে ১০০। কোন ব্যক্তি ইচ্ছা করলে একজনে এক এর অধিক সদস্য পদ নিতে পারবে।   

সদস্য হওার যোগ্যতাঃ
১. বাংলাদেশ প্রক্রিত নাগরিক হইতে হবে।
২. বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হইতে হবে।
৩. সদস্য পদ পারথির বিরুদ্য কোন প্রকার ফোজদারি বা রাষ্ট্র দ্রোহী মামলা থাকতে পারবেনা।
৪. প্রতি মাসে নুন্নতম মাসিক চাঁদা প্রদান করার সামর্থ্য থাকতে হবে।
৫. সমিতির ফান্ড বাড়ানোর লক্ষে মাসিক চাঁদার অতিরিক্ত হিসাবে প্রিতি বছর নুন্নতম (৫০০০/-) টাকা করে ২ টি ডাওন পেমেন্টের মাধ্যমে (১০,০০০/-) টাকা সঞ্চয় করার/পরিশোধ করার সামর্থ থাকতে হবে।


মাসিক চাঁদার পরিমানঃ
প্রতি সদস্য পদের জন্য মাসিক চাঁদার পরিমাণ হবে (১০০০/-) এক হাজার টাকা মাত্র। উক্ত মাসিক চাঁদা প্রতি মাসে অবশ্যই কোষাধক্ষের নিকট টকার রসিদ বা মাসিক সঞ্চয় বইতে লিখিত ভাবে উল্লেখ পূর্বক বুজে নিয়ে জমা দিতে হবে। 


ডাওন পেমেন্ট পদ্দতি ও পরিমানঃ
ডাওন পেমেন্ট বলতে সমিতির মাসিক সঞ্চয় আমানত ১০০০/- টাকার অতিরিক্ত (২) দু'টি ৫০০০/- টাকার নগদ সঞ্চয়কে বুজাবে।  উক্ত ৫০০০/- টাকার সঞ্চয় ২ টি যথাক্রমে প্রতি বছেরে জুন এবং ডিসেম্বর মাসে সঞ্চয় আমানত হিসাবে সমিতির মাসিক চাঁদার ন্যায় কোষাধক্ষ্যের নিকট রশিদ বা সঞ্চয় আমানত বইতে লিখিতভাবে উল্লেখ পূর্বক বুজে নিয়ে জমা দিতে হবে।

সাধারণ বিজ্ঞপ্তিঃ 
বিসমিল্লাহ্‌ বহুমুখি সমবায় সমিতির নিয়ম- নিতি ও উপ-আয়ন তৈরির কার্যক্রম চলছে, অনুগ্রহ পূর্বক অপেক্ষায় থাকুন ও দারাবাহিক ভাবে দেখতে থাকুন। কোন সদস্যের কমেন্ট বা মতা মত থাকলে নীচের কমেন্ট এ ক্লিক করুন এবং মতামত/ কমেন্ট করুন। আপনাদের মতামত ও কমেন্ট বিবেচনায় রেখে আমার কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।   ----- করতিপক্ষ  -------



 বিসমিল্লাহ্‌ বহুমুখি সমবায় সমিতির মাসিক সাধারণ সভার কিছু ছবি দেওয়া হোল।
 

   










বিসমিল্লাহ বহুমুখি সমবায় সমিতি লিমিটেড এর উপ-আইন। 

সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ ও সংশোধিত ২০০২ এবং সংশোধিত ২০১৩ অনুসারে প্রণীত)

প্রারম্ভিক:
১। সংক্ষিপ্ত শিরনাম: এই উপ-আইন বিসমিল্লাহ বহুমুখি সমবায় সমিতি লিমিটেড এর উপ-আইন নামে অভিহিত হইবে।

২। সংঙ্গা: বিষয় বা প্রসংঙ্গের প্রয়োজনে ভিন্নরুপ না হইলে, এই উপ-আইনে-
(
ক) আইনবলিতে সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ ও সংশোধিত ২০০২, ২০১৩ এবং উহার পরবর্তী সংশোধনী সমূহকে বুঝাইবে।

(খ) উপ-আইনবলিতে এই সমিতির উপ-আইন বুঝাইবে।

(গ)নিবন্ধকবলিতে সমবায় অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং নিবন্ধকের নিকট হইতে সাধারণ কিংবা বিশেষ আদেশ দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে বুঝাইবে।

(ঘ) সমিতিবলিতে পরবর্তিতে এই সমিতিকে বুঝাইবে।

সমিতির নাম ও ঠিকানা:

৩। সমিতির নাম: এই সমিতির নাম বিসমিল্লাহ বহুমুখি সমবায় সমিতি লিমিটেড।

৪। সমিতির ঠিকানা:  
(১) সমিতির নিবন্ধকৃত অফিস হইবে-
 গ্রাম/মহল্লা: ঢাকা উদ্যান                      ডাকঘর: মোহাম্মদপুর
উপজেলা/থানা: মোহাম্মদপুর               জেলা: ঢাকা 
(২) সমিতির ঠিকানা পরিবর্তন করিতে হইলে ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে নিবন্ধককে লিখিতভাবে অবহিত করিতে হইবে এবং উপ-আইন সংশোধন করিতে হইবে।

সদস্য নির্বাচনী এলাকা ও কর্মএলাকা:
৫। সমিতির সদস্য নির্বাচনী এলাকা হবে ঢাকা জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ (সমগ্রহ বাংলাদেশের যে কোন জেলার হউক না কেন, তবে ঢাকা জেলায় স্থায়ী/অস্থায়ী ভাবে বসবাস রত থাকতে হবে)।

৬। সমিতির কর্ম এলাকা ঢাকা ও তার আস-পাস জেলা এর মধ্যে সীমাবদ্ধ।  (ক্রমিক নং ৫ ও ৬ সমবায় সমিতির সাংগঠনিক সভার সিদ্বান্তক্রমে হইবে)

৭। সমবায় সমিতি গঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
১। ক) নিজেদের মাথা গোছার ট্যাঁই হিসাবে জায়গা কিনে বাড়ি/ বাসস্থান তৈরি করা।

খ) দারিদ্রতা বিমোচন এর মাধ্যমে সামাজিক-আত্ম নির্ভর শীলতা অর্জন করা।  

গ) সরকারি সহযোগিতায় সদস্যদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তা করা।

২)  ক) উপরোল্লিখিত উদ্দেশ্য সাধনের জন্য দেশের প্রচলিত আইন প্রতিপালন পূর্বক সমিতি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করিবে।

৮। সীলমোহর:
ব্যবস্থাপনা কমিটি সমিতি পরিচালনার জন্য একটি সাধারণ সীলমোহর রাখিবে এবং উহা সম্পাদকের নিকট থাকিবে।

সমিতির সদস্যপদ:
৯। সমিতির সদস্যপদের যোগ্যতা:

(১) সমিতির শ্রেণি ও প্রকারের সাথে সংগতিপূর্ণ যে সমস্ত পুরুষ ও মহিলা সমিতির সদস্য নির্বাচনী এলাকায় বাস করেন এবং ১৮ বৎসর বা তদুর্ধ্ব বয়স্ক তাহারাই এই সমিতির সদস্য হইতে পারিবেন।

(
২) যাহারা সদস্য হইবেন তাহাদের প্রত্যেকেই:-
(ক) ২০০/- (দুইশত) টাকা করিয়া ভর্তি ফিস জমা দিতে হইবে। 
(খ) ১০০০/- (এক হাজার) টাকার অন্তত ০১ (এক)টি শেয়ার ক্রয় সহ শেয়ার মূল্যের সমপরিমান টাকা প্রতি মাসে সমিতিতে সঞ্চয় আমানত হিসেবে জমা দিতে হইবে;
(গ) সদস্য তালিকা বহিতে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়া দস্তখত বা টিপসহি দিতে হইবে;

 (ঘ) সমিতির উপ-আইনসমূহ মানিয়া চলিবার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হইবে।

 (ঙ) নতুন সদস্য ভর্তির ক্ষেত্রে সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন হইবে।

(
সমিতির সাংগঠনিক সভায় (ক) ও (খ) নির্ধারিত হইবে)


১০। সদস্যের মনোনীত ব্যক্তি:
সমিতির প্রত্যেক সদস্য এমন একজন একক ব্যক্তিকে মনোনীত করিবেন, সদস্যের মৃত্যুর পর অথবা অন্য কোন কারনে সদস্যপদ হারাইলে তাহার অনুপস্থিতে তাহার শেয়ার এবং তদসংক্রান্ত যাবতীয় অধিকার ও দায় দায়িত্ব অর্জন করিবেন;  যদি মনোনীত ব্যাক্তিও মৃত্যু বরন করেন বা উন্মাদ হয়ে যান; সেইক্ষেত্রে উত্তোরাধিকার সংত্রান্ত আইন প্রযোয্য হইবে এবং তার/তাদের ধাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি/তাহারা আইনগত কোন উত্তোরাধিকারী / উত্তোরাধিকারীগন উল্লেখিত মনোনীত ব্যাক্তি হিসাবে উপরে উল্লেখিত সদস্যের শেয়ার এর যাবতীয় সুবিধা ভোগ করিবেন ও তাহার কার্যক্রম চালাইয়া যাইতে পারিবেন। সদস্য ইচ্ছা করিলে যে কোন সময়ে তাহার মনোনয়ন লিখিতভাবে পরিবর্তন বা বাতিল করিতে পারিবেন।

১১। সদস্যপদের অবসান: নিম্নলিখিত কারনে সদস্যপদের অবসান হইবে-
(ক) সমস্ত শেয়ার বাজেয়াপ্ত বা হস্তান্তরিত হইলে, বা
(
খ) সদস্যপদের যোগ্যতা হারাইলে, বা
(
গ) সদস্যপদ প্রত্যাহার করিলে, বা
(
ঘ) মৃত্যু ঘটিলে, বা
(
ঙ) ব্যবস্থাপনা কমিটি কতৃক সদস্যপদ রহিত হইলে, বা
(
চ) আদালত কতৃক দেউলিয়া বা অপ্রকৃতস্থ ঘোষিত হইলে।

১২। সদস্যপদ প্রত্যাহার:
কোন সদস্য যদি নিজে অথবা জামিনদার হিসাবে সমিতির নিকট ঋনী না থাকেন তাহা হইলে সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির নিকট ১ (এক) মাসের লিখিত নোটিশ দিয়া সদস্যপদ ত্যাগ করিতে পারিবেন, কিন্তু এরুপ ক্ষেত্রে সদস্য পদত্যাগীকে সমিতির কোন পাওনা ঋন বা অগ্রিম থাকিলে তাহা শেয়ার বা আমানত হইতে কর্তন করিয়া রাখা যাইবে। সদস্যের শেয়ার আমানত কোন সদস্যের নিকট অথবা নতুন কোন সদস্য বরাবর হস্তান্তর বা বিক্রি করা যাইবে। সমিতি কোন শেয়ার ক্রয় করিবে না।


১৩। সদস্য বহিস্কার ও অপসারণ:
(১) কোন সদস্য ব্যবস্থাপনা কমিটির বিবেচনায় যদি ইচ্ছাপূর্বক আইন, বিধিমালা, উপ-আইন বা সমিতির প্রণীত অন্য কোন নিয়ম লংঘন করেন, তাহা হইলে ৭(সাত) দিনের নোটিশ দিয়া উপ-আইনের বিধান অনুযায়ী তাহাকে জরিমানা, পদচ্যুত বা সদস্যপদরহিত করা যাইবে।

(
২) বাতিলকৃত সদস্যের পাওনা শেয়ার বা আমানত সম্বন্ধে ব্যবস্থাপনা কমিটি যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণকরিতে পারিবে। সদস্যপদের যোগ্যতা হারাইলে উক্ত ব্যক্তিকে ব্যবস্থাপনা কমিটি পরবর্তী সাধারণ সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে সদস্যপদ হইতে অপসারন করিতে পারিবে।

১৪। সমিতির সদস্যগণের অধিকার ও দায়বদ্ধতা:
(ক) সদস্যের অধিকার:
সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ এর ধারা ৩৬ হইতে ৪১ পর্যন্ত এবং সমবায় সমিতি বিধিমালা, ২০০৪ এর বিধি ৮৭ হইতে ৯১ পর্যন্ত কার্যকর হইবে।
আইন, ২০০১ এর ধারা ৩৬ হইতে ৪১ পর্যন্ত নিম্নে বর্ণিত হলঃ

৩৬ সদস্যদের ভোট
() সকল শ্রেণীর সমবায় সমিতির প্রত্যেক সদস্য সমিতির কর্মকাণ্ডের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে একটি মাত্র ভোট প্রয়োগের অধিকারী হইবেন; উক্ত ভোট ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হইয়া প্রয়োগ করিতে হইবে, প্রক্সির মাধ্যমে কোন ভোট দেওয়া যাইবে না৷

(
) ভোটে সমতা দেখা দিলে সভাপতির একটি দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে৷

(
) প্রাথমিক সমবায় সমিতি ব্যতীত অন্যান্য সমবায় সমিতির ক্ষেত্রে, একটি সদস্য সমিতি উহার বৈধ কোন সদস্যকে সদস্য-সমিতির প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিকে উহার প্রতিনিধি হিসাবে ভোটদানের জন্য মনোনয়ন দিতে পারিবে৷

(
) সদস্য সমিতির কোন ব্যক্তি ঊর্ধ্বতন সমিতির পক্ষে বা কর্মকাণ্ডে প্রতিনিধিত্ব করিবেন বা কিভাবে ভোট দিবেন সেই সম্পর্কে উপ-আইনে বিস্তারিত বিধান থাকিবে৷

৩৭ বকেয়া পাওনা পরিশোধ না করা পর্যন্ত সদস্যগণ অধিকার প্রয়োগ করিতে পারিবে না
কোন সদস্যের নিকট সমিতির চাঁদা বা শেয়ার বা সদস্যপদ সংক্রান্ত অন্য কোন পাওনা বকেয়া থাকিলে উহা পরিশোধ না করা পর্যন্ত উক্ত সদস্য তাঁহার অধিকার প্রয়োগ করিতে পারিবেন না৷

৩৮ শেয়ার অথবা [ মুনাফা] ক্রোকযোগ্য হইবে নাঃ
অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছু্ থাকুক না কেন, ধারা ৩১ এর বিধান সাপেক্ষে, সমবায় সমিতির কোন সদস্যের নিকট উক্ত সমিতির প্রাপ্য নহে এমন কোন ঋণ বা দায় পরিশোধের জন্য আদালতের আদেশ বা ডিক্রি দ্বারা উক্ত সমিতিতে উক্ত সদস্যের শেয়ার বা অর্জিত [ মুনাফা] ক্রোকযোগ্য হইবে না বা উক্ত ডিক্রী বা আদেশ বলে শেয়ার বা [ মুনাফা] বাবদ প্রাপ্য সম্পদ হইতে আদায়যোগ্য হইবে না৷

৩৯. সাবেক মৃত সদস্যের দায়ঃ
কোন সদস্যের সদস্য পদের অবসান হইলে বা মৃত্যু হইলে এবং অবসান বা মৃত্যুর তারিখে সমবায় সমিতির নিকট তাঁহার কোন দায় দেনা অপরিশোধিত থাকিলে সদস্য পদ অবসান বা মৃত্যুর তারিখের পরবর্তী তিন বত্সরের মধ্যে উক্ত দেনা উক্ত সদস্যের রাখিয়া যাওয়া সম্পত্তি হইতে আদায়যোগ্য হইবে, যদি উল্লিখিত তিন বত্সরের মধ্যে সমবায় সমিতির ধারা ৫৫ মোতাবেক অবসায়নের আদেশ প্রদান করা হয়৷

৪০. গ্রহীতা মনোনয়নঃ
প্রাথমিক সমবায় সমিতির প্রত্যেক সদস্য এমন একজন একক (Individual) ব্যক্তিকে মনোনীত করিবেন যিনি সমিতির সদস্য নহেন এবং যিনি সদস্যের মৃত্যুর পর তাঁহার শেয়ার এবং তত্সংক্রান্ত যাবতীয় অধিকার দায় দায়িত্ব অর্জন করিবেন; এই ক্ষেত্রে উত্তরাধিকার সংক্রান্ত কোন আইন প্রযোজ্য হইবে না এবং উক্ত মনোনীত ব্যক্তি উক্ত সদস্যের মৃত্যুর পর সমিতিতে তাহার শেয়ার এবং তদ্সংক্রান্ত সকল অধিকার, অর্জন দায়-দায়িত্ব বহন করিবেন৷

৪১. সদস্য পদ অবসায়নের ক্ষেত্রে শেয়ার, মুনাফা ইত্যাদি পরিশোধঃ
সমবায় সমিতির কোন সদস্য তাহার সদস্য পদ হারাইলে তাহার শেয়ার বাবদ অর্জিত মুনাফা [ ***] উক্ত সদস্য বা তাঁহার মনোনীত ব্যক্তির নিকট [ পরিশোধ] করিতে হইবে৷

বিধিমালা, ২০০৪ এর বিধি ৮৭ হইতে ৯১ পর্যন্ত নিম্নে বর্ণিত হলঃ


(
খ) সদস্যের দায়:
সমিতির দেনার জন্য সদস্যগণ স্ব-স্ব কতৃক ক্রয়কৃত শেয়ারের হার পর্যন্ত দায়ী হইবে।

(
গ) প্রতিনিধি মনোনয়ন:
ব্যবস্থাপনা কমিটি এই সমিতির কেন্দ্রীয় বা জাতীয় সমিতিতে সমিতির সদস্যেদের মধ্য হইতে একজন সদস্যকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য মনোনয়ন দিবেন।

মূলধন সৃষ্টি, ব্যবহার এবং ঋন আদায়:
১৫। মূলধন সৃষ্টির উপায়:
সমবায় আইন, বিধিমালা এবং এই উপ-আইনের বিধান মান্য করিয়া নিম্নলিখিতভাবে সমিতির মূলধন সংগ্রহ করা যাইতে পারে:
(
ক) শেয়ার বিক্রয়;
(
খ) সদস্যের নিকট হইতে আমানত গ্রহণ;
(
গ) কেন্দ্রীয় সমিতি, কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে ঋণ গ্রহণ সদস্য ব্যতিত কোন ব্যক্তির নিকট হইতে কোন আমানত বা ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে না;
(
ঘ) সরকারি বা অন্যত্র হইতে অনুদান বা ঋণ গ্রহণ।
(
ঙ) সম্পত্তি, ব্যবসায়, কারবার বা অন্যান্য আয় হইতে।

১৬। অনুমোদিত শেয়ার মূলধণ:
(ক) সমিতির অনুমোদিত শেয়ার মূলধনের পরিমাণ.......…. (…….) টাকা হইবে। এবং প্রতি শেয়ারের মূল্য হইবে…………………. (……………..…..) টাকা। সদস্য ব্যতীত অন্য কেউ শেয়ার ক্রয় করিতে পারিবেন না।

(
খ) কোন সদস্য সমিতির মোট অনুমোদিত শেয়ার মুলধনের (১/২০) অংশের বেশি শেয়ার খরিদ করিতে পারিবে না।
 
(অনুচ্ছেদ (ক) তে উল্লেখিত অংক সাংগঠনিক সভার অনুমোদন মোতাবেক ভিন্নরুপ হইতে পারে)

১৭। সদস্যদের ঋণ গ্রহনের সীমা:
উক্ত সঞ্চয়ী আমানত দিয়ে সমিতির সদস্যদের যৌথ উন্নয়েনের লক্ষে জমাকৃত সঞ্চয়ী টাকা কারবারের উদ্দেশ্য বিনিয়োগ করা যাবে কোন সদস্যের বেক্তিগত কাজের জন্য শেয়ার বাবদ প্রদত্ত টাকা হইতে কোন ঋণ দেওয়া যাবেনা। যদি বিশেষ ভাবে ব্যাক্তিগত কাজের জন্য কোন সদস্যকে ঋণ দিতে হয় তবে কমিটির সাধারন সভায় প্রস্তাব উত্থাপন করে সকলের মতামতের ভিত্তিতে উক্ত প্রকার ঋণ দেয়া/না দেয়ার সিদ্যান্ত নিবেন। উক্ত ঋণ দেয়ার প্রস্তাব সাধারন সভায় গ্রিহিত/পাশ হলে সেই ক্ষেত্রে শেয়ার বাবদ প্রদত্ত টাকার ৪০ গুনের অধিক কোন সদস্যই কর্জ পাইবে না। ঋন গ্রহনের শর্তাবলী সমিতি কর্তৃক ঋণ নীতিমালা প্রণয়নপূর্বক নীতিমালা মোতাবেক লেনদেন হইবে। সদস্য ব্যতীত কোন ব্যক্তিকে ঋণ দেওয়া যাইবে না।

সাধারণ সভা:
১৮। সাধারণ সভা:
প্রতি বৎসর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল সদস্য সদস্যের সমন্বয়ে বিধি মোতাবেক সাধারণ সভা অনুষ্ঠান যথারীতি হইবে। বিশেস কারনে সমিতি বিধি মোতাবেক বিশেষ সাধারণ সভা আহবান করিতে পারিবে। উক্ত সাধারন সভায় কমপক্ষে মোট সদস্যের এক তৃতীয় অংশ উপুস্থিত না থাকলে সাধারন সভার কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবেনা।

১৯। সাধারণ সভা অনুষ্ঠান:
সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ এর ধারা ১৬ হইতে ১৭ পর্যন্ত এবং সমবায় সমিতি বিধিমালা, ২০০৪ এর বিধি ১৩ হইতে ২১ পর্যন্ত অনুসরণপূর্বক সাধারণ সভা বা বিশেষ সাধারণ সভা বা তলবী সভা অনুষ্ঠান করিতে হইবে।

সমিতির ব্যবস্থাপনা:
২০। (ক) ব্যবস্থাপনা কমিটি:

(১) সমিতির পরিচালনার যাবতীয় দায়িত্ব সমবায় সমিতি আইন, বিধিমালা ও উপ-আইন মোতাবেক বারো (১২) সদস্য বিশিষ্ট একটি ব্যবস্থাপনা কমিটির উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং সাধারণ সভায় সম্পাদনযোগ্য কার্য ব্যতীত সমিতির সকল কার্য উক্ত কমিটি সম্পাদন করিবে। ব্যবস্থাপনা কমিটি বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্বতিতে ৩ (তিন) বৎসরের জন্য নির্বাচিত হইবেন। তিন বৎসর পূর্তির পূর্বে কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচন সম্পন্ন করিতে হইবে। তবে উক্ত কমিটির সদস্য নয় এমন একজন উপদেষ্টা সৌজন্য চেয়ারমান থাকিবেন। সকল সদস্যের সম্মতির ভিত্তিতে উক্ত উপদেষ্টা সৌজন্য চেয়ারমান পদে থাকিবেনঃ

উপদেষ্টা সৌজন্য চেয়ারমান

১. জনাব মোহাম্মাদ শাহআলম

বারো (১২) সদস্য বিশিষ্ট কমিটি সদস্যগণ নিম্নলিখিত পদাবলী হইবেন-

 (১) সভাপতি- ১ জন
(২) সহঃ-সভাপতি- ১ জন
(
৩) সাধারন সম্পাদক- ১ জন
(৪) সহঃ সাধারন সম্পাদক- ১ জন
(৫) সাংগঠনিক সম্পাদক-১ জন
(৬) সহঃ সাংগঠনিক সম্পাদক-১ জন
(৭) কোষাধ্যক্ষ- ১ জন
(৮) সহঃ কোষাধ্যক্ষ- ১ জন
(৯) প্রচার সম্পাদক-১ জন  
(১০) সদস্য- ৩ জন

(সমিতির সাংগঠনিক সভায় ব্যবস্থাপনা কমিটির মোট সদস্য ও পদসমূহ নির্ধারিত হইবে)

(২) নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন করা না হইলে মেয়াদ পূর্তির সাথে সাথেই উক্ত কমিটি বিলুপ্ত হইবে এবং নিবন্ধক সমিতির সদস্য বা সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৯০ দিনের জন্য ১টি অন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়োগ করিবেন।

(
৩) নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সদস্যের পদ কোন কারনে শূন্য হইলে ব্যবস্থাপনা কমিটি উক্ত পদে নির্বাচিত হইবার যোগ্য সদস্যকে কো-অপ্ট করিয়া শূন্যপদ পূরণ করিবেন।

২১। ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন পদ্বতি:
সমবায় আইনের ধারা ১৮(২) এবং বিদি ২২-৩৬ এর বিধান সাপেক্ষে সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যগণ সাধারণ সভায় নির্বাচিত হইবেন।

২২। উপ-আইনে যাহাই থাকুক না কেন সমিতিতে ধার্যকৃত নিরীক্ষা ফি এবং সমবায় আইনের ৩৪ ধারা অনুযায়ী ধার্যকৃত সমবায় উন্নয়ন তহবিল বকেয়া থাকিলে ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যগণকে কোন ভাতা দেওয়া যাইবে না।

২৩। ব্যবস্থাপনা কমিটির ক্ষমতা:
ব্যবস্থাপনা কমিটি নিম্নরুপ কার্যাদি সম্পন্ন করিতে পারিবে:
(
১) নতুন সদস্য ভর্তি,
(
২) সাধারণ সভার অনুমোদনক্রমে আইন ও উপ-আইনের বিধান মতে বর্তমান কোন সদস্যকে অপসারন, বহিস্কার বা সদস্যপদ স্থগিত অথবা জরিমাণা করা।
(
৩) তহবিল উন্নীতকরন,
(
৪) তহবিল বিনিয়োগ,
(
৫) সমিতির স্বার্থে মামলা দায়ের, পরিচালনা ও আপোষ করা,
(
৬) শেয়ার আবেদনপত্র নিস্পত্তি করা,
(
৭) ঋনের আবেদন নিস্পত্তি এবং তাহার বিপরীতে জামানত নির্ধারণ করা,
(
৮) বিশেষ ধরনের কাজের জন্য উপ-কমিটি গঠন করা,
(
৯) হিসাব সংরক্ষণ ও হিসাব বিবরণী প্রস্তুতকরণ।

২৪। সভাপতি ও সহ-সভাপতির ক্ষমতা ও কর্তব্য:
আইন ও বিধি অনুযায়ী সমিতির সভাপতি এবং কোন জরুরী অবস্থার প্রেক্ষিতে সভাপতির অনুপস্থিতিতে সমিতির সহ-সভাপতি সমিতির স্বার্থে ঋণ বরাদ্দ ব্যতীত সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল প্রকার ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন।

২৫। সম্পাদক ও সহঃ সাধারন সম্পাদকের ক্ষমতা ও দায়িত্ব:
(ক) সমিতির কার্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে প্রয়োজন অনুযায়ী সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা আহবান এবং আলোচ্যসূচি মোতাবেক সভা অনুষ্ঠানের কমপক্ষে ২৪(চব্বিশ) ঘন্টা পূর্বে সদস্যগণকে সভার কার্যক্রম অবহিতকরণ;

(
খ) সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির নিকট অথবা ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত কোন সদস্যের নিকট সমিতির আয়-ব্যয়ের হিসাব যথাযথভাবে পরীক্ষা ও অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন;

(গ) সমিতির দৈনন্দিন অন্যান্য কার্যাদি।


২৬। সাংগঠনিক ও সহঃ সাংগঠনিক সম্পাদকের ক্ষমতা ও দায়িত্বঃ



২৭।  কোষাধ্যক্ষ ও সহঃ কোষাধ্যক্ষের ক্ষমতা ও দায়িত্বঃ
কোষাধ্যক্ষের ও সহঃ কোষাধ্যক্ষের ক্ষমতা ও দায়িত্ব: সমিতির সকল আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ করিবেন।


২৮। প্রচার সম্পাদকের ক্ষমতা ও দায়িত্বঃ


২৯। তিন (৩) জন সদস্যের ক্ষমতা ও দায়িত্বঃ
 


৩০। ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যপদের বিলুপ্তি ও অফিসার অপসারণ: ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সদস্যের সদস্যপদ বিলুপ্ত হইবে, যদি-
(
ক) উক্ত সদস্য ব্যবস্থাপনা কমিটিতে নির্বাচিত হইবার যোগ্যতাসমূহ বহাল না রাখেন;
(
খ) পদত্যাগ করেন;
(
গ) মৃত্যুবরণ করেন।

৩১। ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা:
সমিতির কার্য পরিচালনার জন্য প্রতি মাসে কমপক্ষে একবার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠান করিবে। সভা অনুষ্ঠানের ৭ দিন পূর্বে আলোচ্যসূচিসহ নোটিশ প্রেরণ করিতে হইবে এবং সভা সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হইবে। কমিটির অর্ধেক সদস্য উপস্থিত থাকিলে সভার কোরাম হইবে। কোন মাসে আলোচ্যসূচি না থাকিলে তা লিখিতভাবে সকল সদস্যকে জানাইতে হইবে।

৩২। সমিতির বিরোধ নিষ্পত্তির পদ্ধতি:
সমিতির কোন বিরোধ/বিবাদ দেখা গেলে সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক উহা মীমাংসা/নিষ্পত্তি করিতে না পারিলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি উহা নিষ্পত্তির জন্য নিবন্ধক বরাবর উপযুক্ত কোর্ট ফি সংযুক্ত করিয়া সংক্ষুব্ধ পক্ষ ডিসপুট দায়ের করিতে পারিবেন। বিরোধ নিষ্পত্তিতে সমবায় সমিতি আইনের ধারা ৫০ হইতে ৫২ এবং সমবায় বিদিমালা ১১১ হইতে ১২২ পর্যন্ত অনুসরণ করিতে হইবে।


৩৩। সম্পত্তি বিক্রয়, বিনিময়ের উপর বিধিনিষেধ:
সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি সাধারণ সভার অনুমোদনক্রমে নিবন্ধকের অনুমতি ব্যতিত ইহার স্থাবর সম্পত্তি এবং যন্ত্রপাতি বা যানবাহনের ন্যায় সম্পত্তি যাহা সমিতির মূলধনের অংশ তাহা বিক্রয়, বিনিময় বা ৫ (পাঁচ) বৎসরের অতিরিক্ত সময়ের জন্য ইজারা প্রদানের মাধ্যমে হস্তান্তর করিতে পারিবে না্।

৩৪। সমিতি অবসায়ন:
সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ এর ধারা ৫৩ হইতে ৫৮ পর্যন্ত এবং সমবায় সমিতি বিধিমালা, ২০০৪ এর বিধি ১১১-১২২ পর্যন্ত অনুসরণপূর্বক কোন সমবায় সমিতির কার্যক্রম অবসায়নে ন্যস্ত করা যাইবে।

৩৫। সাধারণ:
(
ক) যে সকল বিষয় সম্পর্কে এই উপ-আইনগুলিতে কোন নির্দেশ বা বিধান নাই তাহা বিদ্যমান সমবায় আইন ও বিধির নির্দেশ অনুসারে স্থিরীকৃত হইবে এবং যদি আইন ও বিধিতে তাহাদের কোন বিধান না থাকে , তাহা হইলে এই উপ-আইনগুলি অমান্য না করিয়া নিবন্ধকের অনুমোদন সাপেক্ষে ব্যবস্থাপনা কমিটি যেরুপ বিবেচনা করিবেন সেইরুপ বিধান দিবেন;

(
খ) এই উপ-আইনের কোন অনুচ্ছেদ বা উপ-অনুচ্ছেদ সর্বশেষ সংশোধনীসহ বিদ্যমান সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ এর কোন ধারা কিংবা বিদ্যমান সমবায় সমিতি বিধিমালা, ২০০৪ এর কোন বিধির সাথে অসংগতিপূর্ণ কিংবা সাংঘর্ষিক প্রমানিত হইলে তাহা তাৎক্ষনিক বাতিল ও অকার্যকর বলিয়া গণ্য হইবে এবং ঐ সমস্ত বিষয়াবলী বিদ্যমান সমবায় আইন ও বিধি অনুযায়ী নিষ্পন্ন হইবে।   

No comments:

Post a Comment